وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِ مِنَ.
আপনি আপনার ঈমানদার নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু রাখে।"
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের ব্যাপারে এই আয়াত নাজিল হয়েছে-
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ঈমানদারগণ! যদি তোমরা নবী আলাইহিস সাল্লামের স্ত্রীগণের নিকট কোনো কিছু চাও, (যেমন ঘরের কোনো আসবাব-পত্র) তাহলে পর্দার আড়াল থেকে চাও।
৮. সুরা আহযাব: ৫৩
নবীর স্ত্রীগণ, যারা উম্মতের মা। তাদের সঙ্গেও বেপর্দা কথা বলার অনুমতি নেই। যাদের ঘরে কুরআন নাজিল হতো। জিবরাঈল (আ.) আসতেন। ওই সময় তাদের অন্তর কতো ভালো, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন ছিলো। আজকাল আমরা বলি, মৌলভীরা শুধু শুধু পর্দা পর্দা বলে চিৎকার করি। আমাদের অন্তর তো পরিষ্কার। নজর বা দৃষ্টি পবিত্র।
হযরত শাহ মুহাম্মাদ আবরারুল হক সাহেব বলেন, আপনাদের নজর ও দিল যদি পরিষ্কার হয়ে থাকে, তাহলে আলী রাযি.-এর দৃষ্টি কেমন ছিলো? তার ব্যাপারে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হুকুম দিয়েছেন-
يَا عَلِيُّ لَا تُتَّبِعِ النَّظَرَةَ النَّظَرَةَ فَإِنَّ لَكَ الْأَوْلَى لَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ
হে আলী! হঠাৎ ও প্রথম নজর মাফ। ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয় দৃষ্টি করা হারাম। তাহলে আলী রাযি.-এর দৃষ্টির ব্যাপারে ফায়সালা করো। যদি তোমাদের নজর বা দৃষ্টি পাক হয় তাহলে তাঁর নজর কেমন ছিলো? তাঁর দিল কেমন ছিলো? যার ব্যাপারে এই হুকুম দেয়া হয়েছিলো। বুঝা গেলো মানুষের এ কথা বলা শয়তানের চক্রান্ত ও ভুল দাবি।
কোনো গাইরে মাহরাম নারীকে খালা, মা বললেই তারা খালা, মা হয়ে যায় না। বোন বানানোর দ্বারা বোন হয়ে যায় না। লোকেরা বলে এতো আমার বোন। ধর্মীয় বোন। এমন বলার দ্বারা কেউ প্রকৃত বোন হয় না। হ্যাঁ, শয়তান গুলি মেরে দেয়। জেনে রাখ, শরীয়তে চাচা, মামী ও শালীর সঙ্গে পর্দা করেছে। আর ভাবির সঙ্গে তো কঠিন পর্দার বিধান। দেবরকে মৃত্যু তুল্য বলা হয়েছে।
বাংলা অর্থ ও অনুবাদ সহ কুরআন পরুন | সহিহ নামাজ শিক্ষা চিত্রসহ |
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর জীবনী ও তার পরিচয়। | নামাজ শিক্ষা নামাজের নিয়ম কারণ |