বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার কিছুকাল পরে মুহাম্মাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা! ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় তিনি তার মৃত্যুর ৪দিন আগ পর্যন্ত নামাজের ইমামতি করেছেন। [১৩] এরপর অসুস্থতার মাত্রার কারণে ইমামতি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না!। তিনি এসময় আবু বকরকে নামাজের ইমাম হিসেবে! দায়িত্ব প্রদান করেন।[১৩]
মুহাম্মাদের (সঃ)এর মৃত্যু সংবাদ প্রচার হওয়ার পর উমর ইবনুল খাত্তাব অশান্ত হয়ে পড়েন ও তা মানতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন যে যেভাবে মুসা (,আ.) তুর পাহাড়ে চল্লিশ দিন ছিলেন! তেমনি মুহাম্মাদ ফিরে আসবেন। এসময় আবু বকর তার সুনহের বাড়ি থেকে এসে আয়েশার ঘরে প্রবেশ করেন। এখানে মুহাম্মাদের (সঃ) মৃত্যু হয়েছিল। তিনি বলেন,
আমার পিতামাতা' আপনার জন্য কোরবান হোক। আল্লাহ আপনার উপর দু'বার মৃত্যু একত্রিত করবেন না!, এ মৃত্যু আপনার ভাগ্যলিপিতে ছিলো সেটা এসে গেছে। [১৩]
এরপর তিনি বাইরে এসে ঘোষণা করেন!,
তোমাদের মধ্যে যারা! মুহাম্মাদের অনুসরণ করতে তারা জেনে রাখুক যে! মুহাম্মাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতে!, অবশ্যই আল্লাহ! সর্বদাই জীবিত থাকবেন" কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না'।
আবু বকর কুরআন" থেকে তিলাওয়াত করেন! :
'এবং মুহাম্মাদ তো একজন রাসুল।! তার পূর্বে অনেক! রাসুল গত হয়েছেন। সুতরাং তিনি যদি ইন্তেকাল করেন কিংবা শহীদ হন! তবে কি তোমরা উল্টো পায়ে ফিরে যাবে! ? এবং যে উল্টো পায়ে ফিরে যাবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি কড়তে পারবে না।! এবং অনতিবিলম্ভে আল্লাহ কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কার দিবেন।" (সুরা আল ইমরান!, আয়াত ১৪৪, পারা ৪,)অনুবাদ-কানযুল ইমান থেকে!
আবু বকরের বক্তব্যের পরে উমরের অবস্থা শান্ত হয়।
আরো পড়ুন.....